সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জিও-পলিটিক্স, পায়রা সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত ও আমতলী জেলার দাবী।


পায়রা সমুদ্রবন্দর আনুষ্ঠানিকভাব উদ্ভোধনের মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলের যোগাযোগ, ব্যবসা-বানিজ্য, formal-informal শ্রম ক্ষেত্র, micro এবং macro economy এমনকি জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়নসহ এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্তের উম্মোচন করবে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ঘিরে আমতলী-তালতলী-কলাপাড়া -গলাচিপা নিয়ে উন্নয়নের একটি মডেল তৈরী হবে। পদ্মা সেতু এবং ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ট্রেন লাইন চালু হলে সামগ্রিকভাবে পদ্মা নদীর অপরপ্রান্ত থেকে গোটা দক্ষিনাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জিও-পলিটিক্সে বঙ্গোপসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ জোন । বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, সোনাকাটা ইকোপার্ক, পায়রা সমুদ্র বন্দর, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ছাড়াও পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ট্রেন লাইন চালু্, গলাচিপা ও পায়রা নদীতে ব্রীজ নির্মান, ইপিজেট ও তালতলীতে পরিবেশ বান্ধব জাহাজ ভাংগা শিল্প স্থাপন সরকারের মেগা পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাধীন। আর এ উন্নয়নের প্রবেশদ্বার বা gate way হচ্ছে আমতলী। আমতলীকে বাদ দিয়ে বা এড়িয়ে গিয়ে কলাপাড়া বলুন, কুয়াকাটা বলুন,তালতলী বলুন সড়ক পথে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। অথচ উন্নয়নের রেসে কলাপাড়া অনেক এগিয়ে। এ অঞ্চলকে উন্নয়নের মডেল করতে হলে কলাপাড়া- কুয়াকাটার সাথে সমানতালে গলাচিপা -তালতলী- আমতলীর উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য গলাচিপা নদীতে ব্রীজসহ আমতলীকে জেলায় উন্নীত করতে হবে। 
উন্নয়নের রোল মডেল, ভৌগলিক অবস্থান এবং কৌশলগত দিক বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা আমতলীকে জেলায় উন্নীত করা আমতলী -তালতলী উপজেলার তিন লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মামনির জন্মদিন: স্বপ্নের চেয়েও বড় হও।

১৯২৮ সন। পন্ডিত জহরলাল নেহেরু তখন এলাহবাদে। আর ১০ বছরের ইন্দিরা গান্ধী থাকেন হিমালয়ের কোলঘেসে মূসৌরী শহরে। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চিঠি। নেহেরু প্রায়ই মেয়েকে চিঠিতে প্রকৃতি, পৃথিবী ও মানব সভ্যতার বিকাশসহ ভারতের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে লিখতেন। ১৯২৯ সনের নভেম্বর মাসে এসব চিঠি নিয়ে মা-মনিকে-বাবা নামে একটি বই প্রকাশিত হলে তা ইতিহাসের অংশ হয়ে যায় । বর্তমানে এটি ভারতের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে এবং রেফারেন্স বুক হিসাবে পড়ানো হয়।কুটনৈ তিক ফারুক চৌধুরীর কুটনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা প্রিয় ফারজানাও আমাদের ভ্রমন সাহিত্য ও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। প্রত্যেক পিতাই দূরে থাকা সন্তানদের প্রতি কিছু পরামর্শ, কিছু নির্দেশনা দিয়ে থাকে। আগে চিঠি লিখত,এখন তার জায়গায় ইমেইল, মোবাইল বা সোশ্যাল মিডিয়া ।এজন্য নির্দেশনাটাও বেশী । এটা কর, ওটা কর না । সন্ধ্যার আগেই বাসায় বা হলে ফের। রাত কর না। রাজনীতিতে জড়িও না, কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে যেও না। কারন অভিভাবকরা সব সময় সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে, মেয়ে হলে তো কথাই নেই । সন্তানরা হয়ত ভাবে, আমরা বড় হয়েছি এত ট...

শুভ জম্মদিন ও একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালার গল্প ।।

The Wright Brothers  প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আকাশের দিকে তাকিয়ে পাখির উড়া দেখতেন। দেখতে দেখতে এক সময় পাখির মত আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। একদিন তাদের স্বপ্ন সফল হল। পাখি হয়ে আকাশে উড়ে নয়, উড়োজাহাজ আবিস্কার করে আকাশ উড়ে। প্রতিটি জীবনে স্বপ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বপ্ন বা vision জীবনকে guide করে, স্বপ্ন ছাড়া জীবন হচ্ছে সুনির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়া দূরপাল্লার যাত্রার মত। তবে এ স্বপ্ন রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখা নয়। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের মতে স্বপ্ন সেটাই যেটা অর্জনের জন্য আমাদেরকে ঘুমাতে দেয় না। স্বপ্ন দেখানো আরো কঠিন কাজ। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার সারাটা জীবন জুরেই স্বপ্ন ফেরী করেছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশ বক্তৃতা আর লেখার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ড: জাফর ইকবাল। আমাদের সমাজ জীবনের ক্ষুদ্র পরিসরে প্রতিদিন  Social Media, পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে, চ্যানেলে সাক্ষাতকার, কমিউনিটি রেডিওর টক শোতে এমনকি মাঠে ঘাটে সভা সমাবেশ আর উঠান বৈঠকে যে মানুষটি এ অঞ্চলের তরুন প্রজম্মকে দিন বদলের কথা বলছেন, ...

সুবন্ধি বাধ, একজন জেলা প্রশাসক ও খালের দুপাড়ের অভাগা ৮০ হাজার মানুষ।।

বরগুনা জেলার সকল পর্যায়ের মানুষের খুব  মন খারাপ। ব্যক্তিগতভাবে আমারও। বরগুনা জেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় জেলা প্রশাসক, সাধারণ মানুষের খুব কাছের ব্যক্তি  ড: মুহা: বশিরুল আলম চলে গেছেন। বিভিন্ন  মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে জেলা প্রশাসকের চলে যাওয়ার খবর এখন সুবন্ধি খালের দুপাড়ের ৮০ হাজার মানুষের মুখে মুখে। অনেকদিন ঢাকায় ছিলাম। আজকে অফিসেই দেখা হল চন্দ্রা, কাউনিয়া, লোদা এবং মহিষডাঙ্গার কয়েকজনের সাথে। দেখলাম তাদেরও খুব মন খারাপ। ২০০৮ সন থেকে সুবন্ধি বাধের কারনে আমতলী উপজেলার আমতলী, চাওড়া, হলদিয়া ইউনিয়ন  ও আমতলী পৌরসভার প্রায় ৮০ হাজার মানুষের কৃষি, পণ্য পরিবহন, জীবন জীবিকা এমনকি পানি ব্যবহার সংক্রান্ত দৈনন্দিন কাজ কর্ম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এ সংবাদ শুনে জেলা প্রশাসক স্যার শুধু নির্দেশনা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি নিজের চোখে সমস্যা দেখেছেন,ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা শুনেছেন,সমস্যা সমাধানের উপায় বের করার জন্য মিডিয়া, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে একাধিক বার মতবিনিময় সভা করেছেন। Citizen's  Voice -Barguna এবং Public Service  Innovation Bangladesh এ তুলে ধরে ...