গত কয়েকদিন ধরে আমতলীর ঐতিহ্যবাহী জনতা পাঠাগার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠাগারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখালেখি এবং নতুন প্রজম্মের জ্ঞান চর্চার জন্য পাঠাগারটি পুরোদমে চালুর দাবী সম্বলিত আবেদন দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। ৮০ দশকে আমতলীর মত একটি পিছিয়ে পরা জনপদে যারা পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি পাঠাগারের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকার কারনে আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই পাঠাগারটি আবার আগের মত চালু হোক। আবার হয়ে উঠুক জমজমাট আড্ডা স্থল। ফিরে পাক হারানো গৌরব, ঐতিহ্য।
জনতা পাঠাগার আমতলীর একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আমতলীর শিক্ষানুরাগী ও সংস্কৃতিমনা অধিকাং মানুষ এ প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন না কোনভাবে যুক্ত ছিল। আমরা কয়েকজন প্রতিযোগিতা করে বই পড়তাম, পড়া শেষে আলোচনা তর্ক বিতর্ক চলত। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,সুখবন্ত সিং,গজেন্দ্র মিত্র, শাহরিয়ার কবির, হুমায়ুন আহমেদ এর মিসির আলী সাইন্স ফিকশন এবং ড: জাফর ইকবালের অধিকাংশ বই এখানেই পড়া। পাঠাগারের সংগ্রহ ঈর্ষনীয়। পাঠাগারের সেই আড্ডাটি আজ অতিত। পাঠাগারের সভাপতি হজ্বে, ফিরে আসলে কমিটির সবাই মিলে আরেকটি উদ্যোগ নিব পাঠাগারের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং নতুন প্রজম্মের জ্ঞান চর্চার জন্য উম্মুক্ত করতে।
জনতা পাঠাগারকে আমি শুধু একটি পাঠাগার হিসাবে দেখি না এটি এখন আমতলীর ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন