কলাপাড়া ও তালতলীতে প্রধানমন্ত্রী , জিও-পলিটিক্স, পায়রা সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়ন ধারা ও আমতলীতে জেলার দাবী।
এই মাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্রবন্দরের
উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১
কাজী নিশাদ রসুল স্বাক্ষরিত সফরসূচি অনুয়ায়ী সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় অবতরণ
করার কথা । প্রধানমন্ত্রী সেখানে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুনর্বাসন
প্রকল্প স্বপ্নের ঠিকানা উদ্ভোধনসহ ১৬টি
প্রকল্প উদ্ভোধন ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তিনি বেলা
আড়াইটায় বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় শুভাগমন করবেন। তিনি এখানে ২১ উদ্ভোধন
শেষে বিকাল ৩ টায় তালতলী সরকারী হাই স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত
জনসভায় বক্তৃতা করবেন।
২০০৮
সন পরবর্তী সময়ে তালতলীতে এটি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর । ২০০১ সনের
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বরগুনা -০৩
আমতলী-তালতলী নির্বাচনী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৮ সনে শেখ
হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হলে স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশা ছিল তার
নির্বাচনী এলাকা আমতলী-তালতলীকে ঘিরে এ অঞ্চল হবে উন্নয়নের একটি রোল মডেল ।
কলাপাড়ার সাথে সমানতালে রাঙাবালী -আমতলী-তালতলীকে এগিয়ে নিতে হলে, উন্নয়নের রোল মডেল করতে হলে চলমান উন্নয়ন ধারার সাথে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করতে হবে। জিও-পলিটিক্স,ভৌগলিক অবস্থান এবং কৌশলগত দিক বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা আমতলীকে জেলায় উন্নীত করা এখন সময়ের দাবী ।
জিও-পলিটিক্সে বঙ্গোপসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ জোন। বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, সোনাকাটা ইকোপার্ক, তৃমাত্রিক শেরে বাংলা নৌ ঘাটি, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন, কলাপাড়া ও তালতলীতে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও তালতলীতে পরিবেশ বান্ধব জাহাজ ভাংগা শিল্প । সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ছাড়াও পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ট্রেন লাইন চালু, ৪ লেন মহাসড়ক ,বিষখালী -গলাচিপা ও পায়রা নদীতে ব্রীজ নির্মান, একাধিক ইপিজেট সরকারের মেগা পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাধীন। পদ্মাসেতুর নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে পায়রা সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের যোগাযোগ, ব্যবসা-বানিজ্য, formal-informal শ্রম ক্ষেত্র, micro এবং macro economy সামগ্রীকভাবে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়নসহ এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্তের উম্মোচন করবে | আর এ উন্নয়নের প্রবেশদ্বার বা Gate Way হচ্ছে আমতলী। আমতলীকে বাদ দিয়ে বা এড়িয়ে গিয়ে কলাপাড়া বলুন, কুয়াকাটা বলুন,তালতলী বলুন সড়ক পথে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। অথচ উন্নয়নের রেসে কলাপাড়া অনেক এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পরেছে আমতলী-তালতলী ।
আমতলী দক্ষিনাঞ্চলের একটি প্রাচীন এবং সম্ভাবনাময়ী জনপদ। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আমতলীর গুলিশাখালীতে একটি প্রশাসনিক থানা স্থাপন করা হয় । বরগুনা ও খেপুপাড়া গুলিশাখালী থানাধীন ছিল । নদী ভাংগন এবং এক প্রান্তে হওয়ায় ১৯০১ সনে গুলিশাখালী থানা হেড-কোয়ার্টার মধ্যবর্তী স্থান আমতলীতে স্থানান্তর করা হয় এবং ১৯০৪ সনে থানার নামকরণ করা হয় আমতলী। সময়ের বিবর্তনে আমতলী থেকে বিভক্ত হয়ে বরগুনা আজ জেলা এবং কলাপাড়া একটি উন্নত জনপদ।কলাপাড়ার সাথে সমানতালে রাঙাবালী -আমতলী-তালতলীকে এগিয়ে নিতে হলে, উন্নয়নের রোল মডেল করতে হলে চলমান উন্নয়ন ধারার সাথে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করতে হবে। জিও-পলিটিক্স,ভৌগলিক অবস্থান এবং কৌশলগত দিক বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা আমতলীকে জেলায় উন্নীত করা এখন সময়ের দাবী ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন