বরগুনা জেলার সকল
পর্যায়ের মানুষের খুব মন খারাপ।
ব্যক্তিগতভাবে আমারও। বরগুনা জেলার
অত্যন্ত জনপ্রিয় জেলা প্রশাসক, সাধারণ
মানুষের খুব কাছের ব্যক্তি
ড: মুহা: বশিরুল আলম
চলে গেছেন। বিভিন্ন মিডিয়া
এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে জেলা প্রশাসকের
চলে যাওয়ার খবর এখন
সুবন্ধি খালের দুপাড়ের ৮০
হাজার মানুষের মুখে মুখে। অনেকদিন
ঢাকায় ছিলাম। আজকে অফিসেই
দেখা হল চন্দ্রা, কাউনিয়া, লোদা এবং
মহিষডাঙ্গার কয়েকজনের সাথে। দেখলাম তাদেরও খুব মন খারাপ।
২০০৮ সন থেকে সুবন্ধি বাধের কারনে আমতলী
উপজেলার আমতলী, চাওড়া, হলদিয়া ইউনিয়ন ও আমতলী পৌরসভার প্রায়
৮০ হাজার মানুষের কৃষি,
পণ্য পরিবহন, জীবন জীবিকা এমনকি
পানি ব্যবহার সংক্রান্ত দৈনন্দিন কাজ কর্ম মারাত্মক
ব্যাহত হচ্ছে। এ সংবাদ
শুনে জেলা প্রশাসক স্যার
শুধু নির্দেশনা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি
নিজের চোখে সমস্যা দেখেছেন,ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা শুনেছেন,সমস্যা
সমাধানের উপায় বের করার
জন্য মিডিয়া, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে একাধিক বার
মতবিনিময় সভা করেছেন। Citizen's Voice -Barguna এবং Public Service Innovation
Bangladesh এ তুলে ধরে এবং
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কার্যকর এ্যাডভোকেসীর
মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সমস্যা সমাধানে একটি
সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
খুব শীগ্রই পরিকল্পনা অনুযায়ী
কাজ শুরু হওয়ার কথা।
জেলা প্রশাসক স্যার হঠাৎ করেই
চলে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তারা
আশংকা করছেন উদ্যোগটি থেমে
যায় কিনা। একজন তো
বলেই ফেললেন আমরা খালের
দুপাড়ের মানুষ খুবই অভাগা।
আর অভাগা যেদিকে চায়
সাগর শুকিয়ে যায়। তাদেরকে
আশ্বস্থ করার চেষ্টা করলাম
এটি সরকারী উদ্যোগ আমরা
আশাবাদী সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা
অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া এডিসি
জেনারেল স্যার যিনি এ
সমস্যা সমাধানের অন্যতম উদ্যোক্তা তিনিতো
আছেনই।
সরকারের
একজন বিশ্বস্ত এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তা
হিসাবে সরকারের নির্দেশ ডিসি স্যারকে তো
মানতেই হবে।তারপরেও আমরা
মনে প্রাণে বিশ্বাস করি
স্যার যেখানেই থাকুন বরগুনার সকল
ভাল কাজে স্যার আমাদের
সাথে আছেন, থাকবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন