খন্দকার মোশতাক ও আমতলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর একজন ছাত্র।।
বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানের দেহ নামাতে যে লোকটি কবরে নেমেছিল তার নাম খন্দকার মোশতাক। শেখ কামালের বিয়ের উকিল বাপের নাম খন্দকার মোশতাক। বঙ্গবন্ধুর মাতার মৃত্যুতে যে লোকটি মাটিতে শুয়ে কান্নায় গড়াগড়ি করেছিলো তার নাম খন্দকার মোশতাক। সবাই সোনার নৌকা উপহার দিলেও বঙ্গবন্ধুকে সোনার বটগাছ উপহার দিয়েছিল খন্দকার মোশতাক কারণ বঙ্গবন্ধু তার কাছে বটগাছের মত।১৪ই আগস্ট দুপুরে যে লোকটি বাসা থেকে তরকারী রান্না করে নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খাইয়েছিলো তারও নাম খন্দকার মোশতাক। বুধবার দুপুরে জিয়াউল হক মুক্তা ভাইর এ লেখাটি নিয়ে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক আমতলী প্রেসক্লাবের সামনের একটি চায়ের দোকানে আলোচনা করছিলাম। আলোচনার এক পর্যায়ে আমতলী সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর একজন ছাত্র জানতে চাইল কে এই খন্দকার মোশতাক? আমরা অবাক বিস্ময়ে ছেলেটার দিকে তাকালেও,আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক অসচেতন এই তরুন প্রজন্মকে কোন দোষ দেই না। দোষ আমাদের, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রাম রাজনৈতিক দর্শন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে পারিনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছি ৪২ বছর পরেও নতুন প্রজন্মের কাছে খূনী মোশতাক চক্রর মুখোস উন্মোচন করতে,পরিচয় তুলে ধরতে। নতুন প্রজন্মের কাছে আরো ব্যাপকভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরা এখন সময়ের দাবী। আসুন বঙ্গবন্ধুকে সকল দলীয় সংর্কিণতার উর্ধ্বে, রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রেখে সার্বজনীন জাতির পিতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করি ঠিক মহাত্মা গান্ধির মত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন