সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঐতিহ্য হারানোর পথে নুরজাহান ক্লাব।।

নতুন প্রজম্মের কাছে এটি একেবারেই অপরিচিত। সাইনবোর্ড না থাকায় চেনারও উপায় নেই। কোন কার্যক্রমও নেই। ঘরটিও ভাংগা চুরা।অথচ একসময় এই ক্লাবটিকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে আমতলীর সকল সামাজিক- সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। বিকশিত হয়েছিল আমতলীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন। ৫০ এর দশকের মাঝা মাঝি সময়ে আমতলী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন মোবারক আলী ভুইয়া। অত্যন্ত সংস্কৃতি মনা এই পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে ১৯৫৫ সনে কারো কারো মতে ১৯৫৬ সনে আমতলী শহরের প্রাণকেন্দ্রে তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমের নামে প্রতিষ্ঠা করেন নুরজাহান ক্লাব। তখন থেকে থানার পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্থানীয় উদ্যোগে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল ক্লাবটি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই পদাধিকার বলে ক্লাবের সভাপতি হন। কিন্তু বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে কোন পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় আমতলীর ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ১৯৯৮ সনে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব সালাউদ্দিন ইউসুফ তার শ্বাশুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবটি পরিদর্শন করেন এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেনে। আমতলীর...

আমতলী মুক্ত দিবস ও একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা।।

১৯৭১ সনের ১৪ ডিসেম্বর। মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহস, বীরত্ব আর কৌশলের কাছে আত্মসমর্পন করে তৎকালীন ওসি রইস উদ্দিন ভুইয়া। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জনাব নুরুল ইসলাম পাশা তালুকদার অন্যতম। তিনি আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। জাতির এ শ্রেষ্ট সন্তান ১৯২৭ সনের ফেব্রুয়ারী মাসে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। বাবা আলহাজ্ব মোক্তার হোসেন তালুকদার সমসাময়িক সময়ে এ অঞ্চ লের একজন ধনাঢ্য,জ্ঞানী এবং সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৭১ সনের মার্চ মাস। গোটা দেশ উত্তাল। রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের পরই তৃণমুলে একরকম যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। আমতলীতেও এর ব্যতীক্রম হয়নি। ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমনের কথা শুনে ২৬ মার্চ রাতে মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন বিশ্বাসের সাথে তালতলী ও পাথরঘাটা হয়ে সুন্দরবন পালিয়ে যান নুরুল ইসলাম পাশা তালুকদার। সেখানে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে ট্রেনিং শেষে ফিরে আসেন বামনার বুকাবুনিয়া ক্যাম্পে। তিনি হাতেম কমান্ডারের অধিনে তালতলীর আগাঠাকুর পাড়...

আমতলী মুক্ত দিবস,প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসুচি।।

আজ ১৪ ডিসেম্বর। আমতলী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের ১২ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী নৌকা যোগে আমতলীর গুলিশাখালী বাজারে পৌছেন এবং সেখান থেকে রাতে অস্থায়ী ক্যাম্প কুকুয়ার সোহরাওয়ার্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসেন। গলাচিপার মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রব মিয়ার নেতৃতে মুজিব বাহিনীর একটি দল যৌথভাবে আমতলী থানায় অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সে সময় আমতলী থানায় পাক বাহিনী ছিল না। থানায় ছিল ওসি রইস উদ্দিন ভূঁইয়া , কয়েকজন পুলিশ ও র াজাকার বাহিনী। আমতলী থানাকে বিনা যুদ্ধে মুক্ত করতে তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা আসমত আলী আকন, ন্যাপ নেতা গাজী আমির হোসেন ও শিক্ষক দলিল উদ্দিন আহমেদ মুক্তিবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেন। ১৩ ডিসেম্বর সকালে তারা ওসি রইস উদ্দিন ভূঁইয়ার সাথে বৈঠক করেন। ওসি শান্তিপূর্নভাবে থানার দখল মুক্তিবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে তাদের মাধ্যমে চিঠি দেন। সন্ধ্যায় মুক্তি বাহিনী থানার পূর্বপাশে চাওড়া নদীর অপর পাড়ে পালবাড়ী ও একে স্কুল সংলগ্ন স্থানে অবস্থান নেয়। ওসি রইস উদ্দিন ভূঁইয়ার সমঝোতা পত্রটি ছিল একটি ফাঁদ। কথা ছিল মুক্তিযোদ্ধারা ১...

আনিসুল হক,একজন স্বপ্নের ফেরীওয়ালা সফল ব্যবসায়ী এবং ভিন্ন ধারার রাজনীতিক।।

লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে আজ জুমাবাদ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের প্রথম নামাজে জানাজা। এরপর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আনিসুল হকের মরদেহ কাল সকালে দেশে আনা হবে।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে (লন্ডনের স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিট) লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। চিকিৎসকরা তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র (ভেন্টিলেশন যন্ত্র) খুলে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা ক রা হয়।   এ সময় তার স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হকসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামে আরেক দফা জানাজা শেষে আনিসুল হককে বনানী কবরস্থানে তার ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরেই দাফন করা হবে। ২০০২ সালে ৬ বছর বয়সে মারা যান আনিসুল হক ছোট ছেলে শারাফুল হক। গত ৪ আগস্ট লন্ডন সফরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আনিসুল হক। মস্তিস্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস-এ’ আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৭ অক্টোবর নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন আনিসুল হক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করে তিনি ১৯৮৬ সালে মোহাম্মদী ...

আবদুর রব :একজন জনপ্রিয় শিক্ষকের বড় অসময়ে প্রস্থান।।

মৃত্যু অনিবার্য। আজ হোক, কাল হোক আমাদের সবাইকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। কিন্ত কোন কোন মৃত্যু আমাদেরকে খুব কাদায়, ব্যথিত করে। কবি লুসুন এজন্যই বলেছিলেন কোন কোন মৃত্যু থাই পাহাড়ের মত ভারী, কোন কোন মৃত্যু হাসের পালকের মত হালকা ।  সৈয়দ আবদুর রউফ। আমাদের কাছে রব বিএসসি হিসাবে পরিচিত। ১৯৮৭ সনে আমতলী এম. ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিএসসি শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার পর থেকে দীর্ঘদিন তার কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জায়গা করে নেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে । আমি তার নামাজে জানাযায় ছিলাম এবং আজকের শোক সভায়ও উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল। কতটা জনপ্রিয় হলে এরকম মানুষের ঢল নামে, কতটা ভালবাসলে মানুষের হ্নদয় থেকে এরকম স্বত:স্ফুর্ত অভিব্যক্তি তা বুঝবার অপেক্ষা রাখে না। তার অকাল প্রস্থান যেমনি আমাদেরকে কাদিয়েছে তেমনি তারমত একজন দক্ষ শিক্ষকের অনুপস্থিতি এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন একজন মানুষের শুন্যতা আমাদের মধ্যে নতুন ভাবনা তৈরী করেছে। গত আগস্ট মাসে কয়েকজন শিক্ষকদের নিয়ে বসছিলাম, কথা বলছিলাম সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি,...