সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঐতিহ্য হারানোর পথে নুরজাহান ক্লাব।।


নতুন প্রজম্মের কাছে এটি একেবারেই অপরিচিত। সাইনবোর্ড না থাকায় চেনারও উপায় নেই। কোন কার্যক্রমও নেই। ঘরটিও ভাংগা চুরা।অথচ একসময় এই ক্লাবটিকে ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে আমতলীর সকল সামাজিক- সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। বিকশিত হয়েছিল আমতলীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন।
৫০ এর দশকের মাঝা মাঝি সময়ে আমতলী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন মোবারক আলী ভুইয়া। অত্যন্ত সংস্কৃতি মনা এই পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে ১৯৫৫ সনে কারো কারো মতে ১৯৫৬ সনে আমতলী শহরের প্রাণকেন্দ্রে তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমের নামে প্রতিষ্ঠা করেন নুরজাহান ক্লাব। তখন থেকে থানার পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্থানীয় উদ্যোগে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল ক্লাবটি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই পদাধিকার বলে ক্লাবের সভাপতি হন। কিন্তু বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে কোন পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় আমতলীর ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ১৯৯৮ সনে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব সালাউদ্দিন ইউসুফ তার শ্বাশুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবটি পরিদর্শন করেন এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেনে।
আমতলীর সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু নুরজাহান ক্লাবের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান বরগুনা জেলা পরিষদ, বরগুনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমতলী থানার অফিসার ইন চার্জসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মামনির জন্মদিন: স্বপ্নের চেয়েও বড় হও।

১৯২৮ সন। পন্ডিত জহরলাল নেহেরু তখন এলাহবাদে। আর ১০ বছরের ইন্দিরা গান্ধী থাকেন হিমালয়ের কোলঘেসে মূসৌরী শহরে। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চিঠি। নেহেরু প্রায়ই মেয়েকে চিঠিতে প্রকৃতি, পৃথিবী ও মানব সভ্যতার বিকাশসহ ভারতের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে লিখতেন। ১৯২৯ সনের নভেম্বর মাসে এসব চিঠি নিয়ে মা-মনিকে-বাবা নামে একটি বই প্রকাশিত হলে তা ইতিহাসের অংশ হয়ে যায় । বর্তমানে এটি ভারতের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে এবং রেফারেন্স বুক হিসাবে পড়ানো হয়।কুটনৈ তিক ফারুক চৌধুরীর কুটনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা প্রিয় ফারজানাও আমাদের ভ্রমন সাহিত্য ও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। প্রত্যেক পিতাই দূরে থাকা সন্তানদের প্রতি কিছু পরামর্শ, কিছু নির্দেশনা দিয়ে থাকে। আগে চিঠি লিখত,এখন তার জায়গায় ইমেইল, মোবাইল বা সোশ্যাল মিডিয়া ।এজন্য নির্দেশনাটাও বেশী । এটা কর, ওটা কর না । সন্ধ্যার আগেই বাসায় বা হলে ফের। রাত কর না। রাজনীতিতে জড়িও না, কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে যেও না। কারন অভিভাবকরা সব সময় সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে, মেয়ে হলে তো কথাই নেই । সন্তানরা হয়ত ভাবে, আমরা বড় হয়েছি এত ট...

শুভ জম্মদিন ও একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালার গল্প ।।

The Wright Brothers  প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আকাশের দিকে তাকিয়ে পাখির উড়া দেখতেন। দেখতে দেখতে এক সময় পাখির মত আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। একদিন তাদের স্বপ্ন সফল হল। পাখি হয়ে আকাশে উড়ে নয়, উড়োজাহাজ আবিস্কার করে আকাশ উড়ে। প্রতিটি জীবনে স্বপ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বপ্ন বা vision জীবনকে guide করে, স্বপ্ন ছাড়া জীবন হচ্ছে সুনির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়া দূরপাল্লার যাত্রার মত। তবে এ স্বপ্ন রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখা নয়। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের মতে স্বপ্ন সেটাই যেটা অর্জনের জন্য আমাদেরকে ঘুমাতে দেয় না। স্বপ্ন দেখানো আরো কঠিন কাজ। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার সারাটা জীবন জুরেই স্বপ্ন ফেরী করেছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশ বক্তৃতা আর লেখার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ড: জাফর ইকবাল। আমাদের সমাজ জীবনের ক্ষুদ্র পরিসরে প্রতিদিন  Social Media, পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে, চ্যানেলে সাক্ষাতকার, কমিউনিটি রেডিওর টক শোতে এমনকি মাঠে ঘাটে সভা সমাবেশ আর উঠান বৈঠকে যে মানুষটি এ অঞ্চলের তরুন প্রজম্মকে দিন বদলের কথা বলছেন, ...

সুবন্ধি বাধ, একজন জেলা প্রশাসক ও খালের দুপাড়ের অভাগা ৮০ হাজার মানুষ।।

বরগুনা জেলার সকল পর্যায়ের মানুষের খুব  মন খারাপ। ব্যক্তিগতভাবে আমারও। বরগুনা জেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় জেলা প্রশাসক, সাধারণ মানুষের খুব কাছের ব্যক্তি  ড: মুহা: বশিরুল আলম চলে গেছেন। বিভিন্ন  মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে জেলা প্রশাসকের চলে যাওয়ার খবর এখন সুবন্ধি খালের দুপাড়ের ৮০ হাজার মানুষের মুখে মুখে। অনেকদিন ঢাকায় ছিলাম। আজকে অফিসেই দেখা হল চন্দ্রা, কাউনিয়া, লোদা এবং মহিষডাঙ্গার কয়েকজনের সাথে। দেখলাম তাদেরও খুব মন খারাপ। ২০০৮ সন থেকে সুবন্ধি বাধের কারনে আমতলী উপজেলার আমতলী, চাওড়া, হলদিয়া ইউনিয়ন  ও আমতলী পৌরসভার প্রায় ৮০ হাজার মানুষের কৃষি, পণ্য পরিবহন, জীবন জীবিকা এমনকি পানি ব্যবহার সংক্রান্ত দৈনন্দিন কাজ কর্ম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এ সংবাদ শুনে জেলা প্রশাসক স্যার শুধু নির্দেশনা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি নিজের চোখে সমস্যা দেখেছেন,ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা শুনেছেন,সমস্যা সমাধানের উপায় বের করার জন্য মিডিয়া, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে একাধিক বার মতবিনিময় সভা করেছেন। Citizen's  Voice -Barguna এবং Public Service  Innovation Bangladesh এ তুলে ধরে ...