১৯৭১ সনের ১৪
ডিসেম্বর। মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহস, বীরত্ব আর কৌশলের কাছে আত্মসমর্পন
করে তৎকালীন ওসি রইস উদ্দিন ভুইয়া। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জীবিত
মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জনাব নুরুল ইসলাম পাশা তালুকদার অন্যতম। তিনি আমাদের
গর্ব, আমাদের অহংকার।
জাতির এ শ্রেষ্ট সন্তান ১৯২৭ সনের ফেব্রুয়ারী মাসে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। বাবা আলহাজ্ব মোক্তার হোসেন তালুকদার সমসাময়িক সময়ে এ অঞ্চলের একজন ধনাঢ্য,জ্ঞানী এবং সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন।
জাতির এ শ্রেষ্ট সন্তান ১৯২৭ সনের ফেব্রুয়ারী মাসে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। বাবা আলহাজ্ব মোক্তার হোসেন তালুকদার সমসাময়িক সময়ে এ অঞ্চলের একজন ধনাঢ্য,জ্ঞানী এবং সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন।
১৯৭১ সনের মার্চ মাস। গোটা দেশ উত্তাল। রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের পরই তৃণমুলে একরকম যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে
গেছে। আমতলীতেও এর ব্যতীক্রম হয়নি। ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্থানী হানাদার
বাহিনীর অতর্কিত আক্রমনের কথা শুনে ২৬ মার্চ রাতে মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন
বিশ্বাসের সাথে তালতলী ও পাথরঘাটা হয়ে সুন্দরবন পালিয়ে যান নুরুল ইসলাম
পাশা তালুকদার। সেখানে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে ট্রেনিং শেষে ফিরে আসেন বামনার
বুকাবুনিয়া ক্যাম্পে। তিনি হাতেম কমান্ডারের অধিনে তালতলীর আগাঠাকুর পাড়ায়
পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।১২ ডিসেম্বর ফিরে আসেন আমতলী
১৩ ডিসেম্বর রাতে আমতলী থানা আক্রমন করেন। ১৪ ডিসেম্বর সকালে আমতলী থানার
পতন হলে তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আমতলীতে প্রথমবারের মত এবছর আমতলী মুক্ত দিবস পালন করা হয়। আমতলী
প্রেসক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন
তিনি।প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
জাতির এ সূর্য সন্তানকে লাল সালাম।
জাতির এ সূর্য সন্তানকে লাল সালাম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন