আমতলী দক্ষিনাঞ্চলের একটি প্রাচীন জনপদ। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আমতলীর
গুলিশাখালীতে একটি প্রশাসনিক থানা স্থাপিত হয় । বরগুনা ও খেপুপাড়া
গুলিশাখালী থানাধীন ছিল । নদী ভাংগন এবং এক প্রান্তে হওয়ায় ১৯০১ সনে
গুলিশাখালী থানা হেড-কোয়ার্টার মধ্যবর্তী স্থান আমতলীতে স্থানান্তর করা হয়
এবং ১৯০৪ সনে থানার নামকরণ করা হয় আমতলী। সময়ের বিবর্তনে আমতলী থেকে বিভক্ত
হয়ে বরগুনা আজ জেলা এবং কলাপাড়া একটি উন্নত জনপদ। অথচ তৎকালীন সময় আমতলীকে
মহাকুমা করার কথা ছিল । ১৯৬৫ সালে মৌলিক গণতন্ত্রের অধীনে জাতীয় পরিষদের
নির্বাচনে আমতলীর প্রার্থী ডাঃ ফজলুর রহমান মাত্র ১ ভোটে হারার মধ্যদিয়ে
আমতলীর ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। আমতলীকে মহাকুমায় উন্নীত করার দাবী অগ্রাহ্য করে
১৯৬৯ সনে বরগুনা মহকুমায় উন্নীত হয়। ১৯৮২ সালের ৩ নভেম্বর আমতলীকে উপজেলা
এবং বরগুনাকে জেলা ঘোষনা করা হয়।অথচ সেদিন আমতলীর কৃতি সন্তান ডা: ফজলুর
রহমান নির্বাচিত হলে আজকে জেলা হত আমতলী।
তবে সময়ের বিবর্তনে আমতলী
আজ অমিত সম্ভাবনাময়ী এক জনপদ। কলাপাড়া-আমতলী -তালতলীকে কেন্দ্র করে
দক্ষিনাঞ্চলের যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ আমতলী তার gate way. আর এই সমৃদ্ধির
পেছনে রয়েছে আমতলীর অসংখ্য মানুষের সীমাহীন অবদান। তাদের চিন্তা শ্রম এবং
মেধা দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন,সমৃদ্ধ করেছেন এ জনপদকে।
পিভিএ
শুরুতেই চিন্তা করছিল নতুন প্রজম্মের সামনে আমতলীর সেসব গুণী মানুষদের
তুলে ধরার । বছরের একটা দিনে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করার, শ্রদ্ধা
জানানোর। কাজটি আমরা শুরুও করেছি। কিন্তু এত মানুষের জীবন ইতিহাস তুলে আনা
খুবই কঠিন। সেক্ষেত্রে সকলের কাছে অনুরোধ আপনাদের চেনা এবং জানা আমতলীর
স্মরণীয় বরণীয়দের নিয়ে পিভিএতে লিখুন আমরা এসব লেখা প্রকাশ করব
ধারাবাহিকভাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন