এক বাংলাদেশী নামকরা ডাক্তার লন্ডনে চাকরি না পেয়ে মানবতার সেবা এবং সহজ
সরলভাবে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য তাবু টানিয়ে অস্থায়ী ক্লিনিক খুলে বসল।
তাঁবুর বাইরে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিল 'GET TREATMENT FOR £20 - IF NOT
CURED GET BACK £100 বিফলে মূল্য ফেরত! এ দেখে এক ব্রিটিশ চালাক লোক চিন্তা
করল একই সাথে বোকা বাঙালীকে জব্দ করা এবং ১০০ পাউন্ড ধান্ধা করার এই
সুযোগ। একে তো ব্রিটিশ, তার উপর অতি বুদ্ধিমান ভাবুন একবার! যথারীতি
ভদ্রলোক গিয়ে ডাক্তারকে বলল- আমার জিহ্বায় কোন কিছুর স্বাদ পাইনা, আমি কোন
স্বাদ পরখ করতে পারিনা আমার চিকিৎসা করুন। ডাক্তার বুঝতে পেরে তার
এসিস্ট্যান্টকে হাঁক দিয়ে বলল- একে ৪২০ নম্বর বোতল থেকে তিন ফোটা খাইয়ে
দাও। ঔষধ খাওয়ানোর পর ভদ্রলোক চেঁচিয়ে উঠল- এটা তো কেরোসিন! ডাক্তার: গুড,
আপনার জিহ্বা কাজ করা শুরু করেছে, ২০ পাউন্ড দিন। ২০ পাউন্ড হারিয়ে অনেক
ভেবেচিন্তে ভদ্রলোক দ্বিতীয় দিন আবার আসল ভদ্রলোক : আমার স্মৃতি কাজ
করছেনা, আপনি আমার চিকিৎসা করুন।এসিস্ট্যান্টকে হাঁক দিয়ে বলল- একে ৪২০
নম্বর বোতল থেকে চার ফোটা খাইয়ে দাও। খাওয়ানোর পর ভদ্রলোক রেগেমেগে
একাকার। বলল: এই কেরোসিন তো জিহ্বায় স্বাদ ফেরানোর জন্য খাইয়েছিলেন গতকাল!
ডাক্তার: এই তো স্মৃতি ফিরে এসেছে।বিশ পাউন্ড। ৪০ পাউ- হারিয়ে ভদ্রলোকের মন
খারাপ, পরের সপ্তাহে আবার এল ভদ্রলোক ডাক্তারের তাঁবুতে। এবার চোখে কালো
চশমা, হাতে সাদা ছড়ি। ভদ্রলোক : আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিনা আমার চোখ ভালো করে
দিন। ডাক্তার: এই চিকিৎসা আমার আওতার বাইরে, এই নিন ১০০ পাউন্ড, ভদ্রলোক
নোটের দিকে তাকিয়ে আবার পরিকল্পনা চেঁচিয়ে বলল: এটা তো পাঁচ পাউন্ডের নোট!
ডাক্তার নোটখানা ফিরিয়ে নিয়ে বলল: আপনার দৃষ্টি ফিরে এসেছে। ২০ পাউন্ড দিন।
গতকাল পিভিএ তে মনিরুজ্জামান সুমনের আমতলীতে ব্রাজিলের সমর্থক
গোষ্ঠীদের কমিটি গঠন শীর্ষক পোস্ট নিয়ে অনেকের উল্টা পাল্টা মন্তব্য দেখে
আমার গল্পটির কথা খুব মনে পরছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে ১৯৮৬ সন থেকে ব্রাজিলের
সমর্থক । গত ২/৩দিন আগে ছাত্রলীগের জাকারিয়া নুরজাহান ক্লাবে ব্রাজিলের
কয়েকজন সমর্থক সমর্থকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন নিয়ে খুব ব্যস্থ । পরশু
সন্ধ্যায় আমি জাকারিয়াকে জিজ্ঞাসা করায় সে বলল কমিটির সবগুলো পদ ফাইনাল
হয়নি তবে সভাপতি,সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফাইনাল হয়েছে এবং নামগুলো
আমাকে দিল। আমি আগেই বলেছি ব্রাজিলের সমর্থক হিসাবে আমার একটা আগ্রহ আছে
এবং এডমিনদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১মে তারিখ আমরা পিভিএতে ঘোষনা দিয়েছি
১জুন থেকে বিশ্বকাপের খুটি নাটি নিয়ে উচ্ছ্বাসের বিশ্বকাপ,উত্তেজেনার
বিশ্বকাপ পিভিএ’র নিয়মিত বিভাগে লিখবেন সাংবাদিক মনিরুজ্জামান সুমন এবং
তিনি বিশ্বকাপ বিষয়ক লেখা সমন্বয় করবেন। জাকারিয়ার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আমি
যথারীতি লেখাটি সুমনকে দিয়েছি এবং সবার আগে পোস্ট করার জন্য অনুরোধ করেছি।
কারন আমাদের কয়েকজনের ধারণা ছিল সুমন দীর্ঘদিন ধরে আর্জেন্টিনার একটিভ
সমর্থক সে হয়ত আগে আর্জেন্টিনার খবরটা আগে দিবে।গতকাল সন্ধ্যায় আমি এবং
কবির সুমনকে একরকম জোরই করেছি এবং বলেছি তুমি আর্জেন্টিনার একটিভ সমর্থক
বলে পক্ষপাতিত্ব করছ। অথচ সেই পোস্ট নিয়ে সুমন এবং পিভিএ সম্পর্কে অসংযত
বাক্যবান দেখে শুধু ব্যথিতই হইনি অবাক এবং বিস্মিত হয়েছি। কারন আমরা ওরকম
চেপে না ধরলে সুমন পোস্টটি কালকে দিত না এবং তাকে এভাবে রোষানলেও পরতে হত
না । ব্রাজিলের সমর্থক গোষ্ঠীদের কমিটি ফিফার কোন কমিটি নয়, এখানে থাকা বা
বাদ দেয়া নিয়ে কোন কিছুই যায় আসে না। প্রশ্ন হচ্ছে যাদের নাম দিয়েছে তারা
জানেন না,এটা তো পিভিএ বা সুমনের কোন দোষ না ।আপনাদের কারো সাথে আমাদের কোন
সখ্যতাও নেই ,শত্রুতাও নেই । বিষয়টি আপনাদের বারবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি
এবং পোস্টটিও ডিলিট করেছি । তারপরেও এটা নিয়ে আপনাদের কারো কারো বাড়াবাড়ি
দেখে মনে হয়েছে আপনারাও চালাক বৃটিশ ভদ্রলোকের মত একই সাথে কাউকে জব্দ এবং
পিভিএ'র পথচলাকে ব্যাহত করার মিশনে নেমেছেন । মনে রাখবেন চালাাকি দিয়ে মহৎ
কিছু করা যায় না, ভালো এবং মহৎ কিছু করতে হলে আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং
সীমাহীন ত্যাগ দরকার ।
পিভিএ একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং মহৎ
উদ্যোগের নাম। নানাবিধ সীমাবদ্ধতার মাঝেও সুবন্ধি সমস্যা সমাধানে পানি
সম্পদ ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে বাংলাদেশে নাগরিক সাংবাদিকদের
প্রচেষ্টায় সবচেয়ে বড় প্রকল্পে ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দসহ অনেকগুলো সমস্যা
সমাধানের নাম পিভিএ। আসুন ছোট খাটো ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে পিভিএকে
সামনে এগিয়ে নেই, পিভিএ'র পথচলা সুগম করি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন