সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আফতাব আলম, একজন সৎ এবং আদর্শ শিক্ষক

আলহাজ্ব আফতাব আলম (রত্তন সিকদার)। একজন সৎ এবং আদর্শ শিক্ষক । সর্বশেষ কর্মস্থল বরগুনা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়।এখান থেকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন । শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং ছাত্র -শিক্ষক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। অবসর গ্রহণের পরে আমতলীর বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি একত্রিত হয়ে গড়ে তুলেছিলেন মুক্ত জীবন নামের একটি সংগঠন ।  জন্ম আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী গ্রামে । পিতা মরহুম আমিন উদ্দিন সিকদার একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং সমাজসেবক । ১৪ মে, ২০১৭ সনে আমতলীর এই কৃতি সন্তান ইন্তেকাল করেন।

আজ ২৫ মে,বিদ্রোহী কবির ১১৯তম জন্ম বার্ষিকী

আজ শুক্রবার ২৫ মে,২০১৮, বাংলা ১১ জ্যেষ্ঠ,১৪২৫। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্ম বার্ষিকী। দ্রোহ, প্রেম ও সাম্যের কবি হিসেবে বাংলা সাহিত্যে নজরুল ইসলাম এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন । ১৮৯৯ সাল বাংলা ১৩০৬ সনের এইদিনে বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে কাজী পরিবারে কবির জন্ম। বরেণ্য এ কবি নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন। মাত্র ৯ বছর বয়সে পিতা কাজী ফকির আহমেদকে হারান । আর্থিক অণটনে পড়ে বই-খাতা রেখে রোজগারে নামতে হয়েছে। কখনও মসজিদের ইমামতি, মাজারের খাদেমগিরি কিংবা চায়ের দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এজন্য ছেলেবেলায় সবাই তাকে ‘দুখু মিয়া’ বলে ডাকত । আসানসোলের চা-রুটির দোকানে রুটির কাজ করার সময় সেখানে কর্মরত দারোগা রফিজ উল্লাহ’র সঙ্গে পরিচয় হয় নজরুলের। তিনি কিশোর নজরুলকে নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে ১৯১৪ সনে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়েই ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন এবং অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। বাংলা সাহিত্যে নজরুল ইসলাম জনপ্রিয় হয়েছেন কবিতা ও গানে। ব্রিটিশ শাসকদের...

বাহাদুর খান,খ্যাতিমান নাট্যকর্মী, একজন সাহসী সাংবাদিক

বাহাদুর খান। পুরো নাম খান অবদুল্লাহ আল বাকী। একজন খ্যাতিমান নাট্যকর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সাহসী সাংবাদিক। যৌবনে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেই যুক্ত হয়েছিলেন বাম ধারার রাজনীতির সাথে। ছিলেন সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসেনানী। ১৯৮৭ সনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে প্রায় ৬ মাস কারাবরণ করেছেন। দীর্ঘদিন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, আমতলী শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক এবং আমতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।  জন্ম ১ মার্চ, ১৯৬১ সন আমতলী শহরের নিজ বাসভবনে। পিতা মরহুম বি. করিম খান আমতলী এম.ইউ বালক বিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ৫ মে, ২০০৬ সনে আমতলীর এই সংগ্রামী মানুষটি ক্যান্সারের মত মরণ ব্যধির কাছে হেরে গেছেন ।

বৈষ্ণব পদাবলী,ভন্ড মজিদ-কুবের ও একজন সুলতান আহমেদ

১৯৮৬ সন। আমি তখন বরগুনা সরকারী কলেজের ছাত্র। রাজনৈতিক কারনে বিকালে আমাদের আড্ডা ছিল বরগুনা বাজার রোডের আবদুল আলিম হিমু সম্পাদিত সাপ্তাহিক বরগুনা কন্ঠের বিপরিতে সাজুর চায়ের দোকানে। অধিকাংশ সময়ে আড্ডার মধ্যমনি ছিল জাসদ নেতা সালাম আলমাস চৌধুরী। এক সময়ে তিনি আমতলী কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ৮৬ সনের জানুয়ারী কি ফ্রেব্রুয়ারী মাস,শীতের সন্ধ্যায় আমরা সাজুর চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছি। অপরিচিত এক ভদ্রলোক ডুকে সালাম দিয়ে আমাদের পাশের টেবিলে বসলেন। খুবই সাধারণ পোষাক পরিচ্ছেদ, হাতে একটি ডায়রী এবং বলার স্টাইল ও উচ্চারণ অনেকটাই স্থানীয় সাদা মাটা । প্রথম দেখায় খুব একটা ভাল না লাগলেও যখন শুনলাম তিনি বরগুনা আলীয়া মাদ্রাসায় বাংলা বিভাগের প্রভাষক এবং তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে, তখন হঠাৎ করেই তার প্রতি একটা ভাললাগা তৈরী হয়ে গেল। এরপর মাঝেই মাঝেই তিনি আমাদের আড্ডায় আসতেন এবং দিনে দিনে তিনিও হয়ে উঠলেন আমাদের আড্ডার অন্যতম আকর্ষন। তার সহজ সরল বলার স্টাইল হাসতে হাসতে কঠিন কথা বলার কৌশল এবং সাহসীকতা আমাদেরকে খুব আকৃষ্ট করত। এরপর অনেক দিন তারসাথে আর যোগা...

রাশিদুল হাসান খান, একজন খ্যাতিমান আর্কিটেক্ট,একজন তুখোর ছাত্রনেতা

ড. রাশিদুল হাসান খান। একজন তুখোর ছাত্রনেতা, একজন খ্যাতিমান আর্কিটেক্ট ।১৯৭১ সনের রণাঙ্গনের এই সাহসী সৈনিক ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সন পর্যন্ত পর পর দুবার হাসান-তাহের পরিষদে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৭৫ পরবর্তি সময়ে লেখাপড়া এবং চাকুরীর কারনে দেশের রাজনীতিতে না থেকে তিনি সৌদি প্রবাসী হলেন। ১৯৭৯ সনে তিনি ডক্টরেট করেন । যে কজন আর্কিটেক্ট সৌদি আরবের রাজধানীর আধুনিক রূপ ায়ণের মাস্টার প্ল্যান করেছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন রাশিদুল হাসান খান । দেশে ফিরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হলেও ছাত্র রাজনীতিতে যতটা সফল ছিলেন মূলধারার রাজনীতির কেমিস্ট্রি বুঝতে না পারায় ঠিক ততটাই অসফল।  জন্ম ২৯ আগস্ট, ১৯৪৮ সনে আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে । পিতা ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন,একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক । ৫ মে, ২০১৮ সনে আমতলীর এই কৃতি সন্তান পটুয়াখালীর নিজ বাসভবনে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন ।

অজয় কর্মকার, একজন খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী

অজয় কর্মকার। একজন খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী ।পারিবারিক পরিমন্ডল থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। জীবনের প্রথম ভাগ হতেই খুলনা ও বরিশাল বেতারের তালিকা ভুক্ত শিল্পী হিসাবে নিয়মিত আধুনিক গান পরিবেশন করতেন।সদা হাস্যোজ্বল এই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব গণ সঙ্গীতের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন। যুক্ত হয়েছিলেন বাম ধারার রাজনীতির সাথেও। ১৯৭১ সনে ঝাপিয়ে পরেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। যুক্ত ছিলেন খেলাঘর এবং উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাথে। দীর্ঘদিন আমতলী শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক হিসাবে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও গড়ে তুলেছিলেন ঝুমুর শিল্পী গোষ্ঠী। জন্ম ১২ এপ্রিল, ১৯৫৩ সনে আমতলী শহরে। পিতা স্বর্গীয় অঞ্জন কর্মকার একজন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক। ২০ মে, ২০১১ সনে আমতলীর এই কৃতি সঙ্গীত শিল্পী আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চির বিদায় নেন।

এ্যাডভোকেট গাজী আমির হোসেন,একজন প্রতিবাদী মানুষের প্রতিকৃতি

এ্যাডভোকেট গাজী আমির হোসেন । একজন প্রতিবাদী মানুষ। মানুষের অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব সময় ছিলেন অকুতোভয় এবং সাহসী যোদ্ধা। দেশ মাতৃকার টানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। যৌবনে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছেন। ন্যাপের মনোনীত প্রার্থী হয়ে ১৯৭৩ ও ৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন । আমতলী বনিক সমিতির প্রত িষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন আমতলী এ. কে পাইলট হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে ছাএ -অভিভাবক ও বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষকদের কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৮২ সনে আইন পেশায় যুক্ত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। জন্ম ২৫ আগস্ট, ১৯৪২ সনে আমতলী ইউনিয়নের নীলগঞ্জ গ্রামে । পিতা মরহুম আলহাজ্ব আর্শ্বেদ আলী একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক। ২০ মে, ২০০৯ সনে আমতলীর এই কৃতি সন্তান এ মাটি ও মানুষের বন্ধন ছেড়ে চির বিদায় নেন।

মাদকের রমরমা ব্যবসা,রাসেলদের প্রতিবাদী চেতনা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান

শনিবার দুপুরে জুয়া খেলতে বাধা দেয়ায় আমতলীর মানিকঝুরি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিবাদকারী রাসেল প্যাদার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।পিভিএ তে এরকম একটি পোস্ট আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে হলেও মুল ঘটনা মাদক কেনা বেচায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে।বর্তমান পুলিশ সুপার ও আমতলী পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাদক কেনা বেচা অনেকাংশে হ্রাস পেলেও একেবার ে বন্ধ হয়নি। মানিকঝুরিতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে গোপনে রমরমা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমি মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় রাসেল প্যাদাকে ধন্যবাদ জানাই, তার সৎ সাহসের প্রশংসা করি। আইন এবং সমাজ বিরোধী কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাসেল আজ মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা রাসেলের পাশে দাড়াতে চাই। রাসেলদের মত প্রতিবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আসুন মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। একই সাথে বরগুনা পুলিশ সুপার,আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও আমতলী পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, এখনি মানিকঝুরির রমরমা মাদক ব্যবসা এবং এই মাদক ব্যবসায়ীদের বির...

PVA'র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ,আমতলীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মরণ সভা

রাজনীতি, শিক্ষা বিস্তার, ব্যবসা বানিজ্য,জীবন জীবিকা, শিল্প -সংস্কৃতি আর চিন্তা- চেতনায় আমতলী একটি অগ্রগামী এবং সমৃদ্ধ জনপদ । আর এ পিছনে রয়েছে এই জনপদে জন্ম নেয়া অসংখ্য কৃতি মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টা, সীমাহীন ত্যাগ আর ভালোবাসা। যাদের অবদানে এ জনপদ সমৃদ্ধ নতুন প্রজন্মের কাছে তারা অনেকটাই অপরিচিত।আমতলীর এসব স্মরণীয় বরণীয় মানুষের অবদান নতুন প্রজম্মের সামনে তুলে ধরবার জন্য People's Voice of Amtali -PVA প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে ঐ মাসে যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে । বর্তমান মাস থেকেই এটি শুরু করতে চাই। এ মাসে আমরা ৫ জনের মৃত্যু বার্ষিকী পেয়েছি। আমাদের জানামতে, ৫ মে বাহাদুর খান ও ড. রাশেদুল হাসান খান, ১৪ মে, আলহাজ আফতাব আলম, ২০ মে, এ্যাডভোকেট গাজী আমির হোসেন ও অজয় কর্মকার। এর বাইরে যদি এ মাসে কারো মৃত্যু বার্ষিকী থাকে প্লিজ আমাদেরকে জানান এবং তার ছবিসহ সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত দিন । তারপরেও কেউ বাদ গেলে আমরা পরবর্তি মাসের স্মরণ সভায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করব। PVA'র এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি সফল করার জন্য প্রয়োজন আমতলীর সকল পর্...

সংসদীয় আসন পুণর্বিন্যাস, ৩০ এপ্রিল শুনানীর রায়: তৃণমুলের স্বপ্ন ও বাস্তবতা

২১ এপ্রিল বিকাল ৩টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরস্থ নির্বাচন কমিশনে বরগুনা ০১ আসনের আমতলী-তালতলী উপজেলাকে নিয়ে জাতীয় সংসদের আলাদা আসনের দাবীতে গণ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভাকেট আবদুল মজিদ মল্লিক এবং ঢাকা বারের সাবেক সম্পাদক এ্যাডভোকেট গাজী শাহ আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ মল্লিককে শুনানীতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রন জানালে তিনি শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন এবং আসন পুণর্বিন্যাসের পক্ষে দালিলিক প্রমানসহ যৌক্তিক দাবী তুলে ধরেন। এসময় জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন।কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ এপ্রিল নিবাচন কমিশন সংসদীয় আসনের সীমানা পুণর্বিন্যাস সংক্রান্ত শুনানীর রায় ঘোষনা করবেন।  বরগুনা জেলার ৬ টি উপজেলা নিয়ে ৩টি আসন ছিল। বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা নিয়ে বরগুনা ১ আসন, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা নিয়ে বরগুনা ২ আসন এবং আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে ছিল বরগুনা ৩ আসন। ২০০১ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সন থেকে ২০০৬ পর্...

রবীন্দ্র জয়ন্তী,রবির আলোয় উদ্ভাসিত হোক বাঙালীর মন ও প্রাণ

আজ পঁচিশে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭ তম জন্মজয়ন্তী। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে (বাংলা-পঁচিশে বৈশাখ-১২৬৮) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতা সারদা সুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী-গল্পকার। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে ‘তত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তার প্রথম লেখা কবিতা ‘অভিলাষ’ প্রকাশিত হয়। ১৮৭৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী ’প্রকাশিত হয়।অসাধারণ সৃষ্টিশীল লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে সমসাময়িক বিশ্বে তিনি খ্যাতিলাভ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তার সাহিত্যকর্ম অনূদিত ও পাঠ্য সূচিতে সংযোজিত হয়েছে । এ সময় থেকেই কবির বিভিন্ন লেখা দেশ-বিদেশে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘গীতাঞ্জলী’। গীতাঞ্জলীর জন্য কবি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ১৩৪৮ সালের বাইশে...

লক্ষী বাঈ খ্যাত লক্ষ্ণৌ, দক্ষিনাঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আমতলীর মান্নাদে খ্যাত প্রিয় বল্লভ কর্মকারের সুস্থ্যতা কামনা

আমতলী দক্ষিনাঞ্চলের একটি প্রাচীন জনপদ।সামাজিক সাংস্কৃতিকভাবেও ছিল বেশ অগ্রগামী।ঐতিহ্যবাহী নুরজাহান ক্লাবকে ঘিরে ৫০ এর দশকের নাট্যচর্চা এবং তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলা পর্যায়ে নাট্য প্রতিযোগিতায় আমতলীর থিয়েটার একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমতলীর সংস্কৃতিকে পৌছে দিয়েছিল খ্যাতির শিখরে। ৮০ দশকে বরগুনা জেলা পর্যায়ে নাট্য প্রতিযোগিতায় আমতলীর উদীচীর ইলেকশন ক্যারিকেচার, অভিরাম পাওয়া রুটি ভক্ষন এবং ক্ষেপা পাগলার পেচাল এর সফল মঞ্চায়ন তারই ধারাবাহিকতা। শুধু কি নাটক, সঙ্গীত ও সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রেও আমতলী ছিল অনেক এগিয়ে। এ মাটিতে জম্ম নিয়েছেন অসংখ্য খ্যাতিমান শিল্পী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ।  সময়টা ৮০ দশকের প্রথম দিকে। আমরা তখন স্কুলের ছাত্র। সন্ধ্যার পরে এবিএম চত্বর পাড় হলেই মনে হত আমি কোন কল্পনার জগতে এসেছি।একদিকে নুরু বারেকের দোকানে, ফয়সল ভাই , হারুন ভাই কুদ্দুস বিশ্বাস এবং পিছনে মাহবুব উল আলম ঝুন্টু তালুকদার, দেলোয়ার আকনের বাসায় ফুল ভলিউমে টেপ রেকর্ডারে মান্নাদে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সতিনাথ, মোহাম্মদ রফির গান বাজত, স্বপন ভাইর বাসায় বাজত ভুপেনের গান।অন্যদিকে অজয় কর্মকার, ...

আমতলীর বঙ্গবন্ধু টাউন হল কেবলই স্মৃতি।।

১৯৭৩ সনের মে মাস। নিজামউদ্দিন আহমেদ মাত্র কয়েক মাস প্রথম জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এসময়েই বঙ্গবন্ধু সরকার পর্যাযক্রমে প্রত্যেক থানায় একটি অডিটরিয়াম নির্মানের সিদ্ধান্ত নেন। সবচেয়ে তরুণ এমপি হিসাবে প্রাথমিক পর্যায়ে আমতলীকে এ কর্মসুচির আওতায় আনা হয়। জায়গা নির্ধারণ,অর্থ বরাদ্দ সম্পন্ন করে নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে অডিটরিয়ামের নির্মান কাজ শুরু হয় । নির্মান কাজের দায়িত্বে ছিলেন আমতলীর বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম পাশা তালুকদার। প্রথ ম অডিটরিয়ামের নামকরণ করা হয় আমতলী টাউন হল। সে অনুযায়ী নিজামউদ্দিন আহমেদের পরামর্শে গাজী আমির হোসেন ও আতাহার উদ্দিন আকন ইংরেজী ATH দিয়ে টাউন হলের সামনের ডিজাইন করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সনের ফেব্রুয়ারী মাসে নতুন নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু টাউন হল। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে টাউন হল অসমাপ্ত রেখে নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় টাউন হলের ভিতরে গাছ গাছরায় ভরে যায়। ১৯৭৭ সনের দিকে শাহ আলম তালুকদারের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে চাদা তুলে এখানে একটি ব্যয়ামাগার করা হয়। কিছুদিন এটা ভালভাবে চললেও পরে বন্ধ হয়...