সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার এফবি হ্যাকিং ও মাইকেল এঞ্জেলোর লাস্ট জাজমেন্ট

আমার এফবি হ্যাকিং ও মাইকেল এঞ্জেলোর লাস্ট জাজমেন্ট। । গত কয়েক মাস ধরে মাঝে মাঝে আমার ব্যাক্তিগত এফবি আইডি হ্যাক হচ্ছে। গতকাল থেকে আমার আইডিতে আমারই কোন প্রবেশাধিকার নেই । সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকিং এর ঘটনায় নিজেকে একটু ভিআইপি ভিআইপি লাগছে। হ্যাকিং নিয়ে পর পর দুটি স্ট্যাটাস দেয়ায় আমার অনেক এফবি বন্ধুরা বার বার ফোন করছেন আইডি উদ্ধার হল কিনা , হ্যাকারদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি  তা জানার জন্য। তাদের   উদ্বিগ্ন আর উৎকন্ঠা দেখে ইতালির কালজয়ী ভা্স্কর ও চিত্রশিল্পী মাইকেল এঞ্জেলোর একটা গল্প মনে পরছে। মাইকেল এঞ্জেলো তখনো তার দি লাস্ট জাজমেন্ট শেষ করেননি কিন্তু পোপের অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের সাথে যুক্ত এক কর্মকর্তা লাস্ট জাজমেন্ট উম্মোচনের জন্য পিড়াপিড়ি শুরু করলেন এবং তার পিড়াপিড়িতে বিরক্ত হয়ে মাইকেল এঞ্জেলো ছবির যেখানে নরকে অভিশপ্তমানুষেরা শয়তানকুল দ্ধারা নির্যাতিত হচ্ছে সেখানে ঐ কর্মকর্তার ছবি বসিয়ে দিলেন ।ছবি দেখে ঐ কর্মকর্তা পোপের কাছে অভিযোগ করলে পোপ বলেন দেখ ঈশ্বর আমাকে স্বর্গ মর্ত পর্যন্ত ক্ষমতা দিয়েছেন নরক পর্যন্ত নয়। জুকারবার্গও আমাকে এফবি পরিচালনা, স্ট্যাটাস, পোস্ট ,...

জিও-পলিটিক্স, পায়রা সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত ও আমতলী জেলার দাবী।

পায়রা সমুদ্রবন্দর আনুষ্ঠানিকভাব উদ্ভোধনের মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলের যোগাযোগ, ব্যবসা-বানিজ্য, formal-informal শ্রম ক্ষেত্র, micro এবং macro economy এমনকি জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়নসহ এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্তের উম্মোচন করবে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ঘিরে আমতলী-তালতলী-কলাপাড়া -গলাচিপা নিয়ে উন্নয়নের একটি মডেল তৈরী হবে। পদ্মা সেতু এবং ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ট্রেন লাই ন চালু হলে সামগ্রিকভাবে পদ্মা নদীর অপরপ্রান্ত থেকে গোটা দক্ষিনাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জিও-পলিটিক্সে বঙ্গোপসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ জোন । বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, সোনাকাটা ইকোপার্ক, পায়রা সমুদ্র বন্দর, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ছাড়াও পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ট্রেন লাইন চালু্, গলাচিপা ও পায়রা নদীতে ব্রীজ নির্মান, ইপিজেট ও তালতলীতে পরিবেশ বান্ধব জাহাজ ভাংগা শিল্প স্থাপন সরকারের মেগা পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাধীন। আর এ উন্নয়নের প্রবেশদ্বার বা gate way হচ্ছে আমতলী। আমতলীকে বাদ দিয়ে বা এড়িয়ে গিয়ে কলাপ...

পায়রা সমুদ্রবন্দর চালু :ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে যুক্ত হল এ অঞ্চলের মানুষ।।

আজ সকাল ১০ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পায়রা সমুদ্রবন্দর উদ্ভোধনের মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলের মানুষকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে যুক্ত করে দিলেন। কারন পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ঘিরেই এ অঞ্চলের যোগাযোগ, ব্যবসা-বানিজ্য, formal-informal শ্রম ক্ষেত্র, micro economy র উন্নয়নসহ সমাজ পরিবর্তনের গতি প্রকৃতি আবর্তিত হবে। এমনকি macro economy ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মোটা দাগে পায়রা সমুদ্রবন্দর এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্তের উম্মোচন করবে।

এ অঞ্চলের উন্নয়নের গেটওয়ে আমতলী উপজেলাকে জেলা ঘোষনার দাবী।।

এ অঞ্চলের উন্নয়নের গেটওয়ে আমতলী উপজেলাকে জেলায় উন্নীত করার দাবীতে দিন দিন স্বোচ্চার হচ্ছে আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ ।  আমতলী নাগরিক ফোরাম ইতিমধ্যে জেলা ঘোষনার দাবীতে অভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে  ।  নাগরিক ফোরাম গত ১০ আগস্ট আমতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে জেলার দাবীতে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে।  প্রবল বর্ষন উপেক্ষা করে দল -মত নির্বিশেষে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে  এবং  প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা আমতলীকে জেলা ঘোষনা করার দাবী জানান । আমতলী দক্ষিনাঞ্চলের একটি প্রাচীন জনপদ। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আমতলীর গুলিশাখালীতে একটি প্রশাসনিক থানা স্থাপন করা হয় । বরগুনা ও খেপুপাড়া গুলিশাখালী থানাধীন ছিল । নদী ভাংগন এবং এক প্রান্তে হওয়ায় ১৯০১ সনে  গুলিশাখালী থানা হেড-কোয়ার্টার মধ্যবর্তী স্থান আমতলীতে স্থানান্তর করা হয় এবং ১৯০৪ সনে থানার নামকরণ করা হয় আমতলী। সময়ের বিবর্তনে আমতলী থেকে বিভক্ত হয়ে বরগুনা আজ জেলা এবং কলাপাড়া একটি উন্নত জনপদ। অথচ তৎকালীন সময় আমতলীকে মহাকুমা করার কথা ছিল । ১৯৬৫ সালে ম...

এ অঞ্চলের উন্নয়নের গেটওয়ে আমতলী উপজেলাকে জেলা ঘোষনার দাবী।।

এ অঞ্চলের উন্নয়নের গেটওয়ে আমতলী উপজেলাকে জেলায় উন্নীত করার দাবীতে দিন দিন স্বোচ্চার হচ্ছে আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ ।  আমতলী নাগরিক ফোরাম ইতিমধ্যে জেলা ঘোষনার দাবীতে অভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে  ।  নাগরিক ফোরাম গত ১০ আগস্ট আমতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে জেলার দাবীতে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে।  প্রবল বর্ষন উপেক্ষা করে দল -মত নির্বিশেষে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে  এবং  প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা আমতলীকে জেলা ঘোষনা করার দাবী জানান । আমতলী দক্ষিনাঞ্চলের একটি প্রাচীন জনপদ। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আমতলীর গুলিশাখালীতে একটি প্রশাসনিক থানা স্থাপন করা হয় । বরগুনা ও খেপুপাড়া গুলিশাখালী থানাধীন ছিল । নদী ভাংগন এবং এক প্রান্তে হওয়ায় ১৯০১ সনে  গুলিশাখালী থানা হেড-কোয়ার্টার মধ্যবর্তী স্থান আমতলীতে স্থানান্তর করা হয় এবং ১৯০৪ সনে থানার নামকরণ করা হয় আমতলী। সময়ের বিবর্তনে আমতলী থেকে বিভক্ত হয়ে বরগুনা আজ জেলা এবং কলাপাড়া একটি উন্নত জনপদ। অথচ তৎকালীন সময় আমতলীকে মহাকুমা করার কথা ছিল । ১৯৬৫ সালে ম...

নাগরিক ফোরাম ও আমতলীতে জেলার দাবী।।

  বিচ্ছিন্নভাবে দাবীটি উঠলেও আমতলী নাগরিক ফোরাম একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে। আমতলীকে জেলায় উন্নীত করার দাবীতে দল-মত নির্বিশেষে একটি বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। ভৌগলিক অবস্থান এবং কৌশলগত কারনে আমতলীতে জেলার দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক এবং নাগরিক ফোরামের উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী।

ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আমতলী নাগরিক ফোরামের একটি মানবিক আবেদন: একটি স্বপ্ন বাচাতে শাহীনের পাশে দাড়ান ।।

আমতলী সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শাহীন। তার দু’টি চোখের মনি লম্বা হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে তার চোখের অপারেশন না করালে চিরদিনের মত চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলবে । তার দু’টি চোখের চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তার দরিদ্র পিতার পক্ষে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব না বিধায় আমতলী উপজেলা নাগরিক ফোরাম ১৮ জুলাই বিকাল ৩টায় এ্যাডভোকেট এম্এ কাদের মিয়ার সভাপিতত্বে এক জরুরী সভায় আমতলী এবং আমতলীর বাইরের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটি মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। একজন মেধাবী ছাত্রের চোখের আলো - একটি স্বপ্ন বাচাতে শাহীনের পাশে দাড়ান । বিকাশ নম্বর -খায়রুল বাশার বুলবুল, নাগরিক ফোরাম -০১৭০৯৯৭৫৪০১.

আপনার একদিনের চা/ সিগারেটের পয়সাই আমতলী সরকারী কলেজের ছাত্র শাহীনকে অন্ধত্ব থেকে বাচাতে পারে।

আমতলী সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শাহীন। তার দু’টি চোখের মনি লম্বা হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে তার চোখের অপারেশন না করালে চিরদিনের মত চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলবে । তার দু’টি চোখের চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। দরিদ্র পিতা মাছ বিক্রেতা শাহজাহান মিয়ার পক্ষে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব না, প্রয়োজন ধণাঢ্য, মহানুভব, দানশীল ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য সহযোগিতা। আপনার একদিনের চা /সিগারেটের পয়সাই পারে শাহীনকে চির অন্ধত্ব থেকে বাচাতে। আসনু মানবিক কারনে আমরা সবাই শাহীনের পাশে দাড়াই ।

সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাও

জিৎ ও কোয়েল মল্লিক অভিনিত ভারতীয় বাংলা ছবি বেশ করেছি প্রেম করেছি দেখছিলাম। ছবিতে একটি গান খুব ভাল লেগেছে। বেশ করেছি প্রেম করেছি করবইতো , ও রাধার মত মরতে হলে মরবইতো । বয়সটি প্রেমের। আমতলীর তারুণ্যও প্রেমে পরেছে, উচ্ছাসে ভাসছে। না এ প্রেম দুটি কাল চোখের জন্য নয়, ষোল কোটি মানুষের জন্য। জর্জ বাণাডশ এর একটি চমৎকার কথা আছে, যৌবনে প্রেমে না পরাও যেমনি অস্বাভাবিক, যৌবনে পরিবতর্নের স্বপ্ন না দেখাও অস্বাভাবিক । আমতলীর তারুণ্যও স্বপ্ন দেখছে, স্বপ্ন দেখাচ্ছে বদলে দেয়ার, বদলে  যাওয়ার। পরিবর্তনের অংগিকার নিয়ে একটি ব্যাতীক্রমধর্মী অনুষ্ঠান মিট দ্য প্রেস এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে নিজেরা গড়ি স্বপ্ন। আয়োজকদের স্বপ্নের কথা শুনলাম, বাস্তবায়নের কৌশল জেনে আনন্দিত হলাম, আশাবাদী হয়ে উঠলাম। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এ স্বপ্ন দেখলে স্বপ্ন ভগংই ঘটবে। এপিজে আব্দুল কালামের মত এ স্বপ্ন ঘুমাতে না দিলেই স্বপ্ন সত্যি হয়ে উঠবে। দান্তের ভাষায় আমিও বলতে চাই, সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাও।

উন্নয়নের রোল মডেল, কোটি টাকার আনন্দ মেলা এবং সংঘাতপূর্ণ আমতলীর রাজনীতি।।

আমি বিভিন্ন সময়ে বলবার চেষ্টা করেছি, জিও পলিটিক্সের কারনে আমতলী-কলাপাড়া-কুয়াকাটা-তালতলী একটি গুরুত্বপূ্র্ণ অঞ্চল। উন্নয়নের দিক থেকে এ অঞ্চলটি অমিত সম্ভাবনাময়ী আর এ উন্নয়নের প্রবেশদ্বার বা gate way হচ্ছে আমতলী। সেক্ষেত্রে এ অঞ্চলের জন্য উন্নয়নের যে সুযোগ তৈরী হয়েছে সেটি যথার্থভাবে কাজে লাগিয়ে আমতলীকে উন্নয়নের রোল মডেল বানাতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, ঐক্য এবং সমঝোতা। আমতলীতে আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে।  আমি ব্যক্তিগতভাবে বাঙালী ও লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যাত্রা, পুতুল নাচ ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত কৃষি পণ্যের প্রদর্শনী বা মেলার পক্ষে। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা এবং পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রশাসন যেখানে সন্ধ্যার পরে কোন অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না সেখানে এ ধরণের মেলার যৌক্তিকতা খুজে পাচ্ছিলাম না। পরে সাংবাদিক বন্ধুদের এবং মেলা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে শুনলাম হাউজি,মামা মাথাই নষ্টসহ বিভিন্ন জুয়ায় প্রতিরাতে প্রায় কোটি টাকার লেন-দেন হয়। তখন বুঝলাম সমঝোতাটা কোথায়, ঐক্যটা কিসের। কারন পুজির কাছে কোন রাজনৈতিক আদর্শ নেই, ব্যক্তিগত নৈতিকতা নেই। এখানে গরীব মানুষ আরো গরীব হল কিনা, র...

আমতলী কলেজ সরকারীকরণ, কলেজ স্ট্রীটের বুড়ো বইয়ের দোকানদার ও আমতলীর উন্নয়নের রোল মডেল ।

আমতলী সরকারী কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছে। গতকাল ২০ এপ্রিল আমাদের অত্যন্ত প্রিয়জন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারী কলেজের ফলক উম্মোচন করেছেন। গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাছিমা খানম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ৭ এপ্রিল থেকে সরকারীকরণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এটি আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এবং আমতলী উপজেলা এমনকি এ অঞ্চলের মানুষের শিক ্ষা সংস্কৃতির বিস্তার, মেধা ও মননের বিকাশ এবং উন্নয়নের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমরা এই ক্ষনটির অপেক্ষায় ছিলাম। স্থানীয় ছাত্র শিক্ষক সাংবাদিক সুশীল সমাজ কলেজ সরকারীকরণের দাবীতে আন্দোলনও করেছে। আমরা কতিপয় সংবাদকর্মী এবং আমতলী কলেজের দুএকজন শিক্ষক যখন এই ইস্যুতে আন্দোলন করার প্রস্তাব করছিলাম স্থানীয় নেতারা শুধু আমাদেরকে পাগল বলতে বাকী রেখেছেন। তবে ভাবভার সুযোগ নেই শুধু আন্দোলনের কারনেই কলেজ সরকারীকরণ হয়েছে। স্কুল কলেজ সরকারীকরণ একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সুতরাং এ কৃতিত্ব একান্তভাবেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। কারন এ ...

Activism for gender equality

|| bvix-cyiæ‡li mgZv wfwËK mgvR PvB ||     bvix-cyiæ‡li mgZvi msMÖvg †Kej bvixi GKvi bq,cyiæl‡KI GwM‡q Avm‡Z n‡e cvjb Ki‡Z n‡e `vwqZ¡kxj f~wgKv|A·d¨v‡gi mn‡hvwMZvq wiKj cÖK‡íi gva¨‡g GbGmGm ‡m KvRwU Ki‡Q |

শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব

গত কয়েকদিন ধরে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ভ্যাট বিরোধী অান্দোলন করছে। এ অান্দোলন নিয়ে প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে। পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। কেউ কেউ অান্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রী সম্পর্কে এমনি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বাজে নোংরা এবং অশালিন মন্তব্য করছেন। অান্দোলনের কৌশল, ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা বা পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত, ভিন্নমত থাকতেই পারে এটি যেকারো গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী দের টিউশন ফির উপর ভ্যাট আরোপের যৌক্তিকতার প্রশ্ন না তুলে যেভাবে অান্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রী সম্পর্কে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নোংরা মন্তব্য করছেন, অশালিন ভাষায় গালাগাল করছেন তা শুধু যৌক্তিকই নয় অশোভন বটে।মনে রাখবেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা লেখা পড়া করছেন তারা আমাদেরই ভাই বোন ও সন্তান। গঠনমূলক সমালোচনা করুন, দোহাই সীমা লংঘন করবেন না। সকল পর্যায়ে শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ বছর সরকার শিক্ষা খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে তারপরেও অবকাঠামোগত অপর্যাপ্ততা, শিক্ষক স্বল্পতার কার...

আমতলীর উন্নয়ন বিতর্ক, আমার কিছু কথা ও কিছু জিজ্ঞাসা।

গত কয়েকদিন ধরে আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং কয়েকটি সভায় দেয়া বক্তৃতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। হোটেল রেস্তোরায় আলোচনা - সমালোচনার ঝড় বইছে। অসংখ টেলিফোনেও জবাব দিতে হচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। আমার খুব ভাল লাগছে অনেকে এই Development Discourse ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন আবার খারাপ লাগছে কারো কারো ব্যক্তিগত আক্রমন এবং অসহিষ্ণু বাক্যবাণ। একজন নিরেট গণতান্ত্রিক মানুষ হিসেবে সবধরনের গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করার মন মানসিকতা আমার আছে। তবে আমি সকল পক্ষের কাছে বিশেষ করে যারা আমার পক্ষে অসহিষ্ণু মনোভাব প্রদর্শন করেছেন তাদের কাছেও বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব ইতিবাচক ও সংযত মনোভাব নিয়ে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনাকে সমৃদ্ধ করার। এটি কোন ব্যক্তিগত রেষারেষি বা বিরোধ নয় এটি একটি আদর্শিক চিন্তা, দার্শনিক যুক্তি, ব্যক্তিগত মতামত, উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার ভার্চুয়ার সংলাপ। আমি আমতলী এবং আমতলীর বাইরে যারা যারা আমতলী নিয়ে স্বপ্ন দেখেন এরকম বিজ্ঞজনদেরকে এই সংলাপে অংশগ্রহণের অনুরোধ করব।
অবশেষে অমল তার বেদখল হওয়া ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ফিরে পেয়েছে। সকাল থেকে বেদখল হওয়া ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান উদ্ধারের দাবীতে পরিবার পরিজন নিয়ে অমল আমরণ অনশন করছিল। অনশনের সংবাদ শুনেই ছুটে আসেন আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি,এম দেলওয়ার হোসেন  পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান ও আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধাসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।তারা অমলের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের দখল বুঝিয়ে দিয়ে অনশন ভংগ করান। এজন্য আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই,কৃতজ্ঞতা জানাই মিডিয়া,আমতলীর ব্যবসায়ী, সচেতন নাগরিক ও যুব সমাজসহ কাছের এবং দূরের ফেসবুক বন্ধুদের যারা অমলের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনে সামীল হয়েছেন একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
সিলেটের রাজন,খুলনার রাকিব অার বরগুনার রবিউল হত্যাকান্ডসহ সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ শিশু নির্যাতনের ঘটনায় গোটা দেশ অাজ ক্ষোভ- বিক্ষোভে উত্তাল। অামতলীতেও সে বিক্ষোভের হাওয়া লেগেছে। ফুসে উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।  বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবীতে ভিন্ন ভিন্নভাবে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করলেও প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগে সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। শিশু নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ  এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় একটি সামাজিক অান্দোলন গড়ে তোলার জন্য অাইনজীবি,শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে  গতকাল ৯ অাগস্ট অামতলীতে  গড়ে উঠেছে সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চ। অাসুন অামরা সম্মিলিতভাবে শিশু নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতাসহ মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
সমালোচনা করুন,  দোহাই সীমা লংঘন করবেন না। সকল পর্যায়ে শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ বছর সরকার শিক্ষা খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে তারপরেও অবকাঠামোগত অপর্যাপ্ততা,  শিক্ষক স্বল্পতার কারনে প্রায় সারে ৩ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর উচ্চ শিক্ষার সুযোগ রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারেনি। এটি রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা। রাষ্ট্র তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কথা বিবেচনা না করে যেসব দরিদ্র,মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক পরিবারের সন্তান পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অতিরিক্ত টিউশন ফি দিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করছেন, রাষ্ট্র টিউশন ফি না কমিয়ে,  তাদের  পাশে না দাড়িয়ে ভ্যাট আরোপ করে তাদের বিপক্ষে দাড়িয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত চরম অযৌক্তিক, অসাংবিধানিক যা মাত্র ৩শ কোটি টাকার ভ্যাটের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সংকুচিত করবে এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বৈষম্যের পাহাড় তৈরী করবে। শিক্ষা খাতে খরচ যদি বিনিয়োগ হয়ে থাকে একজন অভিভাবক হিসাবে সরকারের কাছে অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের টিউশন ফির ...
অন্ধ  রাষ্ট্রযন্ত্র ঃ ফজলু মিয়া এবং ফাইয়াজ মিয়ার দিনকাল বিনা অপরাধে,বিনা বিচারে ২২ বছর জেল খেটে সিলেট কারাগার থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ফজলু মিয়া। অন্যদিকে গুলশানের অভিজাত এলাকার ব্যস্থ সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে গাড়ির ধাক্কায় এক শিশু নিহত এবং ৪ জন আহত করার মত অপরাধ করলেও অভিযুক্ত ফাইয়াজ মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার না করে নিরাপদে বাসায় পৌছে দিয়েছে। ফজলু মিয়া দরিদ্র মানুষ বলে রাষ্ট্রযন্ত্র তার অধিকারের বিষয়ে নির্বিকার, অন্ধ আর ফাইয়াজ মিয়া প্রভাবশালী সাবেক এমপির ভাতিজা বলে তার অপরাধ না দেখার ভান করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। দুর্ভাগ্য এখনো ছবি বিশ্বাসের মত চিৎকার করে বলতে হয়  ফিরিয়ে দাও আমার ২২ টি বছর।

অমল পাল আমাদেরকে ক্ষমা করো।

মানুষের বিপদে- আপদে যাকে সব সময় পাশে পাওয়া যেত সেই স্বজ্জন ব্যক্তিটি আজ আর আমাদের মাঝে নেই। খুব কম বয়সে বড় অভিমান নিয়ে তুমি চলে গেলে । আমরা তোমার জন্য কিছুই করতে পারিনি এমনকি দরজা জানালা বন্ধ করে  মিন মিন করেও বলতে পারিনি হামলাকারীদের বিচার চাই। আমাদের রহস্যজনক নিরবতা আর সামগ্রিক অক্ষমতার জন্য আমাদেরকে ক্ষমা করো।

দক্ষতায় মর্যাদা বাড়ে ভিক্ষায় হারায়।

অমল পেশায় একজন নরসুন্দর। তার ছোট দোকানটি বেদখল হয়েছিল। আমরণ অনশনের মাধ্যমে এ সংখ্যালঘু মানুষটি বেচে থাকার একমাত্র  অবলম্বন দোকানটি ফিরে পেয়েছে। এ সফলতার কাহিনী প্রচারে গত দুদিন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, অন লাইন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়া খুবই সরব ভূমিকা পালন করেছে।এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। তবে আমি একটি কারনে খুবই উদ্ভিগ্ন তাহলো, যারা সংবাদ পরিবেশন করেছেন তারা অহেতুক এবং অনাঙ্খিতভাবে দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে গেছেন। কেউ উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিচে নামিয়ে  মেয়রকে হাইলাইট করার চেষ্টা করেছেন, কেউবা মেয়রকে নিচে নামিয়ে  উপজেলা চেয়ারম্যানকে হাইলাইট করার চেষ্টা করেছেন আবার কেউ কেউ ডিজিটাল ব্যানার, দাগ খতিয়ানের প্রশ্ন তুলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের  চেষ্টাও করেছেন । কোন কোন সংবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানের নামই নেই,কোনটায় মেয়রের। অথচ  সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র এবং আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।  হয়তো কেউ উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থক,  কেউবা  মেয়রের। সে ব্যক্তিগত আনুগত্যর দিক থেকে আমরা কাউকে নামানো-উঠানোর চেষ্টা করেছি। ...